নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় পুলিশের ওপর সন্ত্রাসীরা হামলা করেছে। এতে ফতুল্লা মডেল থানার এক এসআইসহ চার পুলিশ আহত হয়েছেন। এ সময় পুলিশ ৩ রাউন্ড গুলি ছোড়ে।
মঙ্গলবার রাতে ফতুল্লার কাশীপুর ইউনিয়নের চরনরসিংপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকায় সোহেল নামে এক যুবককে আটক করেছে। আটক সোহেল ওই এলাকার মৃত আলী হোসেনের ছেলে।
ওই ঘটনায় আহত হয়েছেন, ফতুল্লা মডেল থানার এসআই ফাহেয়াত উদ্দিন রক্তিম, কনসটেবল হেলাল উদ্দিন, জাহাঙ্গীর আলম এবং আলমগীর হোসেন। তারা নারায়ণগঞ্জ তিনশ শয্যা হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
এ ঘটনায় বুধবার সকালে আহত এসআই ফাহেয়াত উদ্দিন রক্তিম বাদি হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় পুলিশের কর্তব্য কাজে বাধার অভিযোগে মামলা দায়ের করেছেন। ঘটনার সময় এসআই রক্তিম নিজের পিস্তল দিয়ে ২ রাউন্ড ফাঁকা গুলি এবং কনসটেবল জাহাঙ্গীর এক রাউন্ড শটগানের গুলি ছোড়েন। ঘটনার সঙ্গে জড়িতরা সবাই ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম সাইফুল্লাহ বাদলের অনুসারী বলে জানা গেছে।
এসআই রক্তিম বলেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যার আগ মুহূর্তে একটি ইজিবাইকে করে ৩ কনসটেবল নিয়ে তিনি টহল ডিউটি করছিলেন। কাশীপুর এলাকার চরনরসিংপুর এলাকায় যাওয়ার পর একটি রাস্তার একাংশে ঢালাইয়ের কাজ চলছিল। অপর অংশ উন্মুক্ত ছিল। কিন্তু পুরো রাস্তাটিকেই বাঁশ ফেলে আটকে রাখা হয়। পুলিশ বাঁশ সরিয়ে টহলের জন্য এগিয়ে যেতে চাইলে জুয়েল নামে এক যুবক তাদের বাধা দেয়। কর্তব্য পালনের জন্য সামনে যাওয়ার প্রয়োজন জানালেও জুয়েল পুলিশের কোনো কথা শুনতেই রাজি ছিল না। এক পর্যায়ে জুয়েল এসআই রক্তিমের সঙ্গে তর্কে ছড়িয়ে পড়েন এবং টেলিফোন করে তার অনুসারীদের ঘটনাস্থলে ডেকে আনেন। ওই সময় জুয়েল ও তার সঙ্গীরা পুলিশের উপর মারমুখী হয়ে উঠে এবং এক পর্যায়ে পুলিশের ওপর হামলা করে। তখন পুলিশের সঙ্গে জুয়েল ও তার সঙ্গীদের ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে ওই যুবকরা পুলিশের সঙ্গে থাকা অস্ত্র ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ সরকারী অস্ত্র রক্ষার্থে ৩ রাউন্ড ফাঁকা গুলি বর্ষণ করে। তখন পালিয়ে যাওয়া সময় সোহেল নামে একজনকে আটক করা হয়।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও কাশীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম সাইফুল্লাহ বাদল। তিনি বলেন, ভুল বোঝাবুঝি থেকে ঘটনার সূত্রপাত হয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি ঘটনার সুষ্ঠু মিমাংসা করার।
ফতুল্লা মডেল থানার ওসি শাহ মোহাম্মদ মঞ্জুর কাদের বলেন, যারা সামান্য বিষয় নিয়ে পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে মারধর করে তারা কোন ভাবেই সাধারণ কেউ হতে পারে না। তাদের কাছে এলাকাবাসী জিম্মি এবং নির্যাতিত হয়। হামলায় আহত এসআই রক্তিম এ ব্যাপারে ফতুল্লা মডেল থানায় বেশ কয়েকজনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত পরিচয় বেশ কয়েকজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন।